দেশের জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সমাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভশীলতার হার বৃদ্ধি পাবে বিবেচনায় নিয়ে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক “সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩” পাশ করা হয়েছে এবং গত ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
উক্ত আইনের আলোকে গঠিত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অথবা নিজ উদ্যোগে এককভাবে এ স্কিমে যুক্ত হওয়া যাবে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্ষিথে যোগ দিলে ক্ষিমের চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মী এবং বাকি অংশ প্রতিষ্ঠান দিবে। মাসিক চাঁদার হার ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।
দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী (যাদের আয়সীমা বাৎসরিক অনুর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) স্বল্প আয়ের নাগরিক- গণের জন্য এ স্কিম। সমতা স্কিমে মাসিক চাঁদার হার ১০০০ টাকা। যার মধ্যে চাঁদাদাতা জমা দিবেন ৫০০ টাকা এবং বাকি ৫০০ টাকা দিবে সরকার।
স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য এ স্কিম। কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, গৃহিণী, তাঁতিসহ সব অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এ জিমে যুক্ত হতে পারবেন। মাসিক চাঁদার হার ১০০০, ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস